প্রশ্ন উত্তর

প্রতিবন্ধকতাঃ সরকারী বেসরকারী সব জায়গায় নামাজ পড়ার “ব্রেক” থাকেবে মিনিমাম আধা ঘন্টা তো লাগবে প্রতিবার।


সমাধানঃ রাষ্ট্রে ইসলাম কায়েম হলে নামাজ (সালাহ) কায়েম হবে, আল্লাহ্‌ সালাহ কায়েম করতে বলেছেন। কায়েম হোল এমন কিছু যা অনেক গভীরে প্রথিত হয়ে যায়, যেমন খুঁটি গাড়া হয়। সালাহ যখন রাষ্ট্রে কায়েম হবে তখন রাষ্ট্রের বিধান থাকবে সালাহ এর সময় হলে সকল কাজ কর্ম বন্ধ করে দিয়ে সালাহ কায়েম করতে হবে, সেক্ষেত্রে কোন সমস্যাই নাই কারণ এটা ঐচ্ছিক না বাধ্যতামূলক হবে। তখন আপনি সালাহ না কায়েম করলেও কোন ক্ষতিও হবেনা, কারণ সরকারি বেসরকারি সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এমন নয় যে এক অফিসে কাজ হবে আর আপনি আটকে আছেন নামাজের বিরতির জন্য। সালাহ শেষে আবার সবাই কাজ শুরু করবে, এটা হবে এক যোগে আপনার এলাকার সকল যায়গায়। তাই আপনার এতে কোন ক্ষতিই হবে না।

৪ রাকাত সালাহ কায়েমে করতেউজু সহ বড় জোর ১৫-২০ মিনিট লাগবে সময়। এখনকার অফিসেও ব্রেক নেয় খেয়াল করলে দেখতে পারবেন, এখন সমস্যা না হলে তখন সমস্যা হবে কেন? ধরেন অফিস সময় শুরু হোল সকাল ৮ টা থেকে। ১ টার দিকে বিরতিতে যোহরের সালাহ ও খাবারের বিরতি হবে ১ ঘণ্টা, আবার দুইটার সময় কাজ শুরু হবে। আবার আসরের সালাহ এর জন্য ৪ টার দিকে ৩০ মিনিটের বিরতি দেয়া হবে, অফিস শেষ হবে ৫ টা ৩০ মিনিট এ। সমস্যা কোথায়? খেয়াল রাখবেন মুসলেম গোটা জাতিই অত্যন্ত ডায়নামিক, তাঁরা এটা ম্যানেজ করতে পারবে যেমন পারে সেনাবাহিনী।

এবার কিছুটা ধারণা দেই বেসামরিক জীবনযাপনের। সালাহ যেমন কায়েম করতে হয় বিক্রেতার তেমনই ক্রেতারও কারণ দুই পক্ষের জন্যই ফরদ। যদি আপনি বিক্রেতা হোন আর দেখেন সকল ক্রেতা সালাহ কায়েম করতে গেছে তাহলে আপনার দোকান খোলা রাখার কোন মানে আছে? আর যদি সকল বিক্রেতাই সালাহ এর সময় দোকান বন্ধ করে সালাহ কায়েমে মসজিদে চলে যায় আপনি ক্রেতা হয়ে ওই সময় কিছু কিনতে পারবেন? পারবেন না, তাই এই পদ্ধতিতে যখন সবাই ধাতস্থ হয়ে উঠবে এটা কোন সমস্যা ই মনে হবেনা। বরং এই পদ্ধতির সুবিধা ব্যাপক। কাজের চাপ থেকে একটু বিরতি হবে, মানুষ স্রষ্টার কাছে হাজিরা দিয়ে মনের প্রশান্তি পাবে, ঝামেলার বিচার দিয়ে বিচার পাবে সেই মসজিদ থেকেই (শুক্র বারে)। মসজিদের ইমাম হবে বিচারক আর বড় বিচার পাঠিয়ে দিবে কাজির দরবারে (অনেকটা কোর্ট এর মতো)।

বোঝা গেলো সালাহ এর বিরতি কোন সমস্যাই হবেনা।

Leave a Reply in MOHSINWORLD